শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:২০ অপরাহ্ন
বরিশাল নগরের সাগরদী এলাকা থেকে এসিআই, কেমিস্ট, জেসন, গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালস্ লিমিটেডসহ দেশীয় এবং ভারতীয় বেশ কয়েকটি কোম্পানির আনুমানিক প্রায় ১০ কোটি টাকা মূল্যের নকল ওষুধ ও প্রসাধনী সামগ্রীসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করেছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালত।
পাশাপাশি এ ঘটনার সাথে জড়িত ও মূল হোতা বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা মোঃ মাসুম বিল্লাহ (২৭) ও তার সহযোগী একই এলাকার বাসিন্দা নূরে আল (২৩) কে গ্রেফতার করা হয়েছে। যাদেরকে ১ বছর করে কারাদণ্ড ও ৫ লাখ টাকা জরিমানা প্রদান করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ জিয়াউর রহমান।
কেমিষ্ট ল্যাবরেটরিজ লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার কাজল ঘোষ জানান, খবর আসে একটি চক্র বরিশাল নদী বন্দর থেকে তাদের কোম্পানির লোগোযুক্ত কাগজের প্যাকেট (কার্টুন) সংগ্রহ করছে। কিন্তু এসব প্যাকেটের কোন অর্ডার তাদের ছিলো না। বিষয়টি তারা তাৎক্ষনিক সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে জানালে তাদের সহযোগীতায় নদী বন্দর এলাকা থেকে সোমবার (১৫ জুন) দুপুরে মোঃ মাসুম বিল্লাহ ও নূরে আলমকে সেইসব প্যাকেটসহ আটক করা হয়।
পরে তাদের দেয়া তথ্যানুযায়ী জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে ড্রাগ ও পুলিশ প্রশাসনের সহযোগীতায় বরিশাল নগরের সাগরদী এলাকার টিয়াখালি সড়কের ডাক্তারবাড়ি সংলগ্ন একটি টিনশেড বসতঘরে অভিযান চালানো।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ জিয়াউর রহমান জানান, টিনশেড ঘরটিতে অভিযান চালিয়ে প্রায় ১০ কোটি টাকা মূল্যের নকল ওষুধ, উৎপাদন ও বাজারজাত সামগ্রী জব্দ করা হয়েছে। এরমধ্যে কিছু প্রসাধনী সামগ্রীও রয়েছে।
তিনি জানান, এ ঘটনার সাথে জড়িত দুইজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের পাশাপাশি নকল ওষুধ প্রস্তুতকরণের এ কারখানাটি সিলগালা করা হয়েছে।এ কাজের সাথে আরো যারা জড়িত রয়েছে তাদেরও খোজা হচ্ছে। এককথায় নকল ওষুধ উৎপাদন ও বিক্রি বন্ধে বরিশাল জেলা প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে।
ওষুধ প্রশাসনের তত্ত্বাবধায়ক অদিতি স্বর্ণা জানান, মধ্যে দেশীয় এসিআই, কেমিস্ট, জেসন, গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালস্ লিমিটেডসহ বিভিন্ন কোম্পানির নকল প্রস্তুতকৃত ওষুধ এবং প্রস্তুতকরনের বিভিন্ন সামগ্রী এ কারখানাতে পাওয়া গেছে। পাশাপাশি ভারতীয় গোদরেজ, গুরুদেব, ডাবর আমলা নামক বিভিন্ন পণ্য পাওয়া গেছে।
প্রাথমিকভাবে গ্রেফতারকৃতদের কাছথেকে যেটুকু জানাগেছে, তারা এসব কোম্পানির পণ্য এখানে বসে তৈরি করতো এবং পার্শবর্তী বিভিন্ন জেলায় বিক্রির কার্যক্রম পরিচালনা করতো।